গলফার জামাল হোসেন মোল্লা করোনা সংক্রমণের শুরুতে তিন মাস কিশোরগঞ্জে নিজের গ্রামে ছিলেন। এরপর ছিলেন গাজীপুরে বোনের বাড়িতে। আপাতত ঢাকায় অলস সময় কাটছে। খেলা নেই, রোজগারও বন্ধ। জামাল চোখেমুখে রীতিমতো অন্ধকার দেখছেন, ‘সংসারের খরচ চালাতে সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছি। কী করব বুঝতে পারছি না। ফেডারেশনের স্যারেরা কবে নাগাদ খেলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেবেন, তা–ও জানি না। তাঁরা অনুমতি দিলেই অনুশীলন শুরু করব।’

ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশ গেমস। প্রতিটি ফেডারেশনকে দল গড়া ও প্রস্তুতির জন্য এরই মধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। কিন্তু বাংলাদেশ গেমসেও গলফের অংশ নেওয়া অনিশ্চিত। গলফ ফেডারেশনের সমন্বয়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবদুল বারী তেমন আভাসই দিলেন, ‘এখন তো ক্লাব টুর্নামেন্টের মৌসুম। কিন্তু কবে নাগাদ খেলা শুরু হতে পারে, এসব নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। বাংলাদেশ গেমস ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতে পারে। এ জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে চিঠি দিয়েছে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু গেমসে গলফাররা অংশ নেবে কি না, সেটার ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’